Sunday, April 26, 2015

Blatant Attack on Democracy in West Bengal বাংলা বন‍্ধের দিকে এগোচ্ছে বামফ্রন্ট

Blatant Attack on Democracy in West Bengal

Press Statement



The Polit Bureau of the Communist Party of India (Marxist) has issued the
following statement:



Blatant Attack on Democracy in West Bengal



The elections to 91 municipalities including two corporations in West Bengal
held on April 25, 2015 constitute a total mockery of democracy. In these and
the election to the Kolkata Municipal Corporation a week earlier, there was
a high degree of people's enthusiasm and a large number of women turned out
to cast their vote. However, these innocent people were met with political
workers and armed hooligans representing the ruling party in the state, the
Trinamool Congress, who denied them the right to a free and fair election.
Polling booths were captured, opposition parties agents driven out and
voting manipulated. A small contingent of central forces sent on the eve of
the election were not deployed by the state government and instead sent for
sightseeing. This is a blot on Indian democracy.



In various parts of the state there was widespread people's resistance
against such display of muscle power and manipulation of the democratic
process. Many were injured and some are critical and are admitted to various
hospitals in the state.



The CPI(M) calls upon the people of West Bengal who have a tradition of
fighting against such authoritarian terror and who established a record of
restoring democracy through people's struggles to resist such attacks on
democracy by the Trinamool Congress in the state.



A large number of intellectuals and people who had served in high
constitutional positions in the country in the past have come together to
form a Save Democracy Forum. Leading lights of the movement were also denied
their legal right to vote.



The Election Commission of India must review these developments, though
these fall under the purview of the State Election Commission and the state
government. This is necessary to learn lessons and prepare for adequate
arrangements when the state assembly elections are held in 2016.

For Central Committee Office

বাংলা বন‍্ধের দিকে এগোচ্ছে বামফ্রন্ট

বামফ্রন্টের নেতারা মিছিল করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ডেপুটেশন দেন৷‌ আজ রবিবার বিকেলে ফের বামফ্রন্টের বৈঠক হবে৷‌ ঠিক হয়েছে বামফ্রন্ট এই প্রহসনের চূড়ান্ত প্রতিবাদ জানাবে৷‌ তা যে বাংলা বন‍্ধ পর্যন্ত যেতে পারে তার ইঙ্গিত মিলেছে৷‌ উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল সর্বভারতীয় স্তরে সমস্ত শ্রমিক সংগঠন একসঙ্গে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে৷‌ সেই দিনই বন‍্ধ ডাকা হবে, নাকি অন্যদিন, তা ঠিক হবে বামফ্রন্টের বৈঠকে৷‌ এদিন বিকেলে বামফ্রন্টের বৈঠকের পর বিমান বসু সাংবাদিকদের বলেন, এই সরকার ও প্রশাসনের লক্ষ্য ছিল ভোটকে প্রহসনে পরিণত করা৷‌ সেটাই হয়েছে৷‌ এই বাংলায় অনেক ভোট দেখেছি, এমন ভোট কখনও দেখিনি৷‌ তিনি বলেন, আমরা যেমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম সেই মতোই ৯১টির মধ্যে অধিকাংশ পুরসভাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীবাহিনী পুলিসের মদতে বুথ দখল, ই ভি এম লুট, ভাঙচুর, বিরোধী প্রার্থীদের ও পোলিং এজেন্টদের বোমা, গুলি, পিস্তল নিয়ে হামলা চালিয়েছে৷‌ সাধারণ ভোটারদের ভোটদানের অধিকারকে হরণ করেছে৷‌ এমনকী নির্বাচনী আধিকারিক এবং বুথ কর্মীরাও রেহাই পানিনি৷‌ বিমান বসু বলেন, কেন্দৃীয় বাহিনী শেষ মুহূর্তে যে কেন্দ্রীয় সরকার ভোটের জন্য পাঠিয়েছিল, তাদের দেখা গেছে হাজারদুয়ারিতে হাওয়া খাচ্ছেন৷‌ সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বুথে পুনরায় ভোটের দাবি জানানো হয়েছে৷‌ বামফ্রন্টের বৈঠকে বিভিন্ন জেলা থেকে যে চিত্র এসেছে তাতে জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ২৩টি পুরসভায় অধিকাংশ এলাকাতেই ভোট লুট হয়েছে বুথ দখল করে৷‌ বহু সাধারণ মানুষ দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে ভোট দিতেই বের হননি৷‌ দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস আক্রান্ত হয়েছেন৷‌ পুলিস সামনে থাকলেও উদ্ধার করেনি৷‌ বরং ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ ভোটার তাঁকে বাঁচাতে এসে নিজে প্রাণ দ্যিয়েছেন৷‌ নদীয়ার কল্যাণী হরিণঘাটায় বহিরাগতদের দিয়ে বুথ দখল করে কার্যত ভোট লুট করেছে তৃণমূল৷‌ বর্ধমানের কাটোয়াতে পুলিস স্টেশন লাগোয়া বুথে অবাধ বুথ দখল ও হামলা চলেছে৷‌ হুগলির বাঁশবেড়িয়াতে ভোটগ্রহণে বাধা দিলে প্রার্থীরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান৷‌ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর পুরসভায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা দেদার ছাপ্পা ভোট দিয়েছে৷‌ হাওড়ার উলুবেড়িয়াতে ১১টি ওয়ার্ড কার্যত দখল করে নেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনী৷‌ কোথাও কোথাও বামপম্হীরা সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিরোধ করেছেন৷‌ প্রতিরোধ করার ফলেই বহু এলাকায় মানুষ রক্তাক্ত হয়েছেন৷‌ তবে সব চেয়ে খারাপ ভূমিকা নিয়েছে রাজ্যের পুলিস৷‌ কার্যত বহিরাগতদের ভোট লুটে সহায়তা করা ছাড়া তাদের কোনও কাজ ছিল না৷‌ দুষ্কৃতীরা তাদের সামনেই অস্ত্র হাতে লাফিয়ে বেড়িয়েছে৷‌ এদিন সকালে অবস্হানের সময়েই বামফ্রন্টের মঞ্চে একের পর এক এই সব খবর আসছিল৷‌ এরপর দুপুরে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, ক্ষিতি গোস্বামী, মনোজ ভট্টাচার্য, হাফিজ আলম সাইরানি, রবীন দেবদের নেতৃত্বে একটি বড়সড় মিছিল নির্বাচন কমিশনারের অফিস পর্যন্ত যায়৷‌ সেখানে ডেপুটেশনও দেন তাঁরা৷‌ ৫ দফা দাবি জানিয়ে এসে বাইরে সাংবাদিকদের কাছে বিমান বসু বলেন, আমরা যতটুকু খবর জানি তা-ও জানেন না এই কমিশনার৷‌ তাঁকে নাকি কোনও রিপোর্টই দিচ্ছেন না অফিসাররা৷‌ কাটোয়াতে একটি বুথ থেকে ই ভি এম চলে যায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে৷‌ সে খবরও নেই তাঁর কাছে৷‌ একজন যে মারা গেছেন কাটোয়াতে, তা-ও জানেন না তিনি৷‌ আশ্চর্য কমিশন! উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি পুরসভাতেও একই চিত্র৷‌ তবে সেখানকার সাধারণ মানুষ দুষ্কৃতীদের প্রতিরোধ করেছেন৷‌ ফলে সেখানে বেশ কিছু মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন৷‌ এদিন অবস্হানে সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, বাঁকুড়ার সোনামুখীতে বহিরাগতদের ধরে সাধারণ মানুষই পুলিসের হাতে তুলে দেন৷‌ বুঝুন পুলিস কী করছিল! মুখ্যমন্ত্রী আসলে পুলিসকেই ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন৷‌ আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম, এই কমিশন, পুলিস প্রশাসনের ওপর ভরসা রেখে লাভ নেই৷‌ মানুষকে তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে৷‌ মানুষের শক্তির ওপরেই ভরসা করছি৷‌ মানুষ যতটা পেরেছেন এর প্রতিরোধ করেছেন৷‌ এভাবেই গণ-প্রতিবাদ গণ-প্রতিরোধে পরিণত হবে৷‌ বিমান বসু এদিন জানিয়েছেন, মহিলারাও এই ভোটে ছাড় পাননি৷‌ তাঁরাও আক্রান্ত হয়েছেন৷‌ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে আজ যে নজিরবিহীন সন্ত্রাসের পরিবেশে ভোটলুট হয়েছে তার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার, প্রশাসন ও পুলিস৷‌ এই সন্ত্রাসের চেহারা জাতীয় স্তরেও প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে৷‌ বিমান বসু জানিয়েছেন, শ্রমিক সংগঠনগুলি ৩০ এপ্রিল যে সিদ্ধান্ত নেবে তাকে সমর্থন জানাবে বামফ্রন্ট৷‌ তবে বামফ্রন্টের বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে৷‌


No comments: